পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলায় এক গৃহবধূকে (৩০) ধর্ষণ করতে গিয়ে ধাওয়া খেয়ে লুঙ্গি রেখে পালিয়েছেন ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি। পরে ওই গৃহবধূর দায়ের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ওই যুবলীগ নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গতকাল বুধবার রাতে ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে বেদার আলী ফরাজীর বিরুদ্ধে মামলা করেন। এর পরপরই পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
যুবলীগের ওই নেতার নাম বেদার আলী ফরাজী (৪৫)। তিনি নাজিরপুর উপজেলার একটি ইউনিয়নের ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি।
পুলিশ ও গৃহবধূর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ওই গৃহবধূর স্বামী পাশের এক জেলার একটি মাদ্রাসার শিক্ষক। তিনি দুই সন্তানকে নিয়ে সেখানে থাকেন। আর তার স্ত্রী একাই থাকতেন বাড়িতে। গত শুক্রবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে বেদার আলী ওই গৃহবধূর ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণচেষ্টা করেন। এ সময় গৃহবধূর চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন। তখন বেদার আলী লুঙ্গি, মুঠোফোনসেট, টর্চ লাইট ও জুতা ফেলে দৌড়ে পালিয়ে যান।
খবর পেয়ে ওই গৃহবধূর স্বামী বাড়ি এসে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পায়। এরপর গতকাল ওই গৃহবধূ মামলা করেন। পরে পুলিশ গ্রেফতার করে বেদার আলীকে।
বেদার আলীর রাজনৈতিক পরিচয় নিশ্চিত করেন নাজিরপুর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এম খোকন কাজী।
তিনি বলেন, ‘বেদার আলী ফরাজীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হবে।’
নাজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুর রহমান বলেন, মামলা হওয়ার পর বুধবার রাতে আসামি বেদার আলীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শীর্ষনিউজ